কোরবনি করা যাদের উপরে ওয়াজিব বিস্তারিত জানুন
প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী-যে১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূযাস্ত পর্যন্ত সমযের ভেতরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তার ওপর কুরবানী করা ওয়াজিব ।
আলেমগন কোবানীর হুকুম নিয়ে মতভেদ করেছেন,কোরবনী করা কি ওয়াজিব যা পালন না করলে গুনাহ হবে,
নাকি সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
কোরবানী করা যাদের উপরে ওয়াজিব বিস্তরিত জানুন। কোবানীর পশু যেকোন মুসলমান নারী ও পুরুষ জবাই করতে পারেন । যার কোরবানী তার নিজে জবাই করা উত্তম।
- কোবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি
- কার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়
- কুবানী করা কি ফরজ না ওয়াজিব
- কতো টাকা থাকলে কুবানী ওয়াজিব
যে ব্যক্তি নেসাব পরিমান অর্থ-সম্পত্তির মালিক কিন্তু তার হাতে নগদ অর্থ নেই। সেই অবস্থায় ঋন করে পশু কোরবানী দেয়া যাবে। তবে এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির ঋনের টাকা পরিশোধের সদইচ্ছা থাকতে হবে। নতুবা তার কোরবানী হবে ন
নেসাব পরিমাণ স্ম্মপদের মালিক যদি কুরবানির দিন গুলোতে সাময়িক ঋণ গ্রস্ত থাকে, যা পরিশোধ করে দিলে তার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমান স্মপদ বাকি থাকে না তার উপর কোরবানী ওয়াজিব হবে না।
কুরবানি দেয়ার মত টাকার মালিক বা সম্পদ আছে কিন্তু ঋণগ্রস্ত? এ ব্যক্তির কোরবানির হুকুম কি? সে কি কুরবানী দিতে পারবে। কোরবানি না দিলে কি গুনাহ হবে? এ সম্পর্কে ইসলামের দিকনির্দেশনায় বা কি?
কোন ব্যক্তির জন্য যে পরিমাণ সম্পদ থাকলে কোরবানি ওয়াজিব বা আবশ্যক সে পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি ঋণগ্রস্ত হয়চ, তবে তার কোরবানি দেওয়া অবশ্য কিনা তা নির্ভর করবে ওই ব্যক্তির অবস্থার ওপর।
কোরবানী করা যাদের উপর ওয়াজিব
কোরবানি শুধুমাত্র নিজের ওপর ওয়াজিব হয় ।তাই সন্তানের পক্ষ থেকে কোরবানি দেওয়া পিতার ওপর ওয়াজিব নয় ।অবশ্য নাবালিক বা নিশাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নয় এমন সন্তানের পক্ষ থেকে কোরবানি করলে সওয়াবের অধিকারী হবেন ।
কোন নারী নিশাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে কুরবানী পশু জবাই করতে হবে।
আল্লাহর কাছে কুরবানী পশুর মাংস রক্ত পৌঁছে না বরং আল্লাহর কাছে তোমাদের তাকওয়া তথা একান্তভাবে সম্পন্ন আমল পৌঁছে।
আল্লাহ আরো বলেন, হে রাসূল,' আপনি বলুন ,আমার সালা্ আমার কোরবানি ,আমার জীবন্আমার মৃত্যু ,বিশ্ব জগতের পালনকর্তা আল্লাহর জন্য নিবেদিত। সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপর শর্তসাপেক্ষে কোরবানি করা ওয়াজিব।
আল্লাহ বলেন, তুমি তোমার রবের জন্য নামাজ আদায় কর এবং কোরবানি করো। আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকার পরও কুরবানী করল না সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে।
কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার শর্তকয়েকটি- শর্তপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে কোরবানি ওয়াজিব হবে।
এক- মুসলিম হওয়া অতএব মুসলিমদের ওপর কোরবানি বিধান প্রযোজ্য হবে না।
দুই- প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া অতএব প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির নির্দিষ্ট সম্পদের মালিক হলেও কোরবানি অবশ্যক নয়।
তিন- সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী হওয়া অতএব পাগল সম্পদের মালিক হলেও কোরবানি ওয়াজিব হবে না
চার- স্বাধীন ব্যাক্তি হওয়া অতএব দাসের ওপর কোরবানি করা আবশ্যক হবে না।
পাঁচ- মুকিম হওয়া অর্থাৎ কোন স্থানে 15 দিনের বেশি সময়ের জন্য স্থায়ী হওয়া।
অতএব মুসাফিরের ওপর কোরবানি আবশ্যক নয়।
ছয় -যাকাত ফরজ হয় এই পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া। ১০ জিলহজ ফজরের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সমযে নিশাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তাকে কুরবানী দিতে হবে। কোরবানির ওয়াজিব হওয়ার জন্য এই সম্পদ এক বছর অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়।
লেখের মন্তব্যঃ
ইসলামের বিধান মৌলিকভাবে তিন ধরনের। এক শুধু শারীরিক ইবাদত যেগুলোর সাথে অর্থের কোন সম্পর্ক নেই ।যেমন নামাজ রোজা এ জাতীয় ইবাদত পালনের ক্ষেত্রে সবাই সমান তবে মাজোর অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য কিছু বিধান ভিন্ন রয়েছে।
দুই এমন ইবাদত যেগুলো সম্পর্ক শুধু অর্থের সাথে যেমন যাকাত কুরবানী। তিন এমন ইবাদত যেগুলোর সাথে শারিরিক শ্রম অর্থ উভয়টা্র সম্পর্ক রয়েছে। যেমন- হজ্ব এবং তৃতীয় প্রকারের নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পাওয়া গেলে তা পালন করা হয় তাই এটাও সবার উপর ওয়াজিব নয় ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url