পুঁইশাকের পুষ্টি গুন ও ১০ টি উপকারিতা

  পুঁইশাক বেশ গুষ্টি কর ও সুস্বাদু। দেশজুড়ে পুঁইশাকের রয়েছে ব্যাপকগ্রহণযোগ্যতা। সহজলভ্য বলে এই শাক কমবেশি সবার কাছেই প্রিয়।স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। 


বজ্র পদার্থের মাধ্যমে শরীরের রোগ জীবাণু দেহের বাইরে যায় ।কোন কারনে সঠিকভাবে নিষ্কাশন হতে না পারলে বদহজম, গ্যা্‌স  নানা সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পুঁইশাক অন্যতম ।
পুঁইশাকের রয়েছে প্রচুর পরিমানে আঁশ যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে দেহের বজ্র সুষ্ঠুভাবে বাইরে যেতে সাহায্য করে।

 এ শাকের রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ এবং ফ্রিস্টলা যা ত্বকের রোগ জীবাণু দূর করে বৃদ্ধি ও বর্ধানে সাহায্য করে,। চোখে পুষ্টি যোগানো ও চুলকে মজবুত রাখে।
 গবেষণা করে দেখা গেছে যারা নিয়মিত বিশেষ করে  আঁশশজাতীয়  শাক খাই  তাদের ক্যান্সার হওয়ার 
স্মভবনা  কম থাকে।

১ঃ এ শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আঁশ ,যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, দেহের বর্জ্য সুষ্ঠভাবে বাইরে যেতে সাহায্য করে।

২ঃ পুঁই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন' এ'  এবং 'সি' যা ত্বকের রোগজীবাণু  দূর করে, বৃদ্ধি ও বর্ধনে সাহয্য করে।

৩ঃ এ শাক খেলে চোখের পুষ্টি জোগানো ও চুলকে মজবুত রাখে।

৪ঃ পুঁইশাকে রক্তে  চর্বির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোন ভয় নাই

৫ঃ নিয়মিত পুইশাক খেলে পাইলস, ফিস্টুলা ও  হেমরয়েড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে খুবই কম।
 
৬ঃ যারা ব্রনের  সমস্যায় ভোগছেন  তাদের জন্য পুঁইশাক খুবই ভালো। পুষ্টিগুন বেশি থাকায় এ শাক রোগ প্রতিরোধে বেশ কাজ করে থাকে।

৭ঃ পুইশাকে শর্করার পরিমান বেশি থাকায় শক্তি উৎপাদনে ভুমিকা রাখে।

৮ঃ হাড়কে মজবুত করে তুলতে বিশেষ অবদান রাখে পুঁইশাক। করন এতে ভিটামিন কে রয়েছে।

৯ঃ  পুঁই শাকে রয়েছে ক্যালসিয়াম আয়রনের মত উপাদানগুলো এছাড়াও রয়েছে পটাশিয়াম এসব 
খনিজ পদার্থ ।

  • ০ঃ  পুঁইশাক পুষ্টি কারক ও তৃপ্তি কারক পাতা সহ সমগ্র গাছ ভেজস গুণাবলী সম্পন্ন।
পুঁইশাক খেলে কি গ্যাস হয়

পুঁইশাক খেলে গ্যস হয় কিনা এরকম প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন।আসলে পুঁই শাকের উপকারিতা অনেক। অপকারিতা নেই  বলেই চলে।

 পুঁইশাক খেলে গ্যাস হয় না বরং এটি গ্যাসের বিরুদ্ধে কাজ করে। অর্থাৎ পুঁইশাক খেলে গ্যাসস্টিকের মতো সমস্যা দূর হয়। তাই আমরা  নিয়মিত পুঁইশাক খাবার চেষ্টা করব। তাহলে বিভিন্ন রকম রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাই।


হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি হজম ক্ষমতা বাড়ায় ।এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে তাই এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হতে দেয় না ।শরীর থেকে বজ্র পদার্থ বের করে দে। বদহজম থেকেও মুক্তি মেলায় পুঁইশাক।


  • লেখকের মন্তব্য


ভাজি কিংবা ঝোল রান্না করা ছাড়াও কাকড়া বানিয়ে খাওয়া যায় ।তাই পরিবারের সবার স্বাস্থ্য সচেতনতাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পুঁইশাক রাখুন ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url